শুক্রবার সকালে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আইনি, রাজনৈতিক এবং ব্যাংকিং ও আর্থিক বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত একটি রাজনৈতিক প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ প্রতিনিধির সাথে পঞ্চম দফার পরোক্ষ আলোচনা পুনরায় শুরু করার লক্ষ্যে রোমের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।আব্বাস আরাকচি এ পর্যন্ত চার দফা (তিনটি মাস্কাটে এবং একবার রোমে) ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আল-বুসাইদির মধ্যস্থতায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ হুইটকের সঙ্গে পরোক্ষভাবে আলোচনা করেছেন।বৃহস্পতিবার রাতে একটি টেলিভিশন দেয়া অনুষ্ঠানে আরাকচি বলেন, "আমরা আমাদের অধিকার থেকে কখনোই পিছু হটব না। ইউরোনিয়াম সমৃদ্ধকরণসহ আমাদের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে হবে কিন্তু একই সাথে, আমরা আস্থা তৈরি এবং স্বচ্ছতা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে এবং বৃহত্তর পর্যবেক্ষণ গ্রহণ করতে প্রস্তুত,কারণ আমরা আমাদের কর্মসূচির শান্তিপূর্ণ প্রকৃতিতে আত্মবিশ্বাসী।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ডোনাল্ড ট্রাম্প পশ্চিম এশিয়ার জন্য তার বিশেষ প্রতিনিধি স্টিভ হুইটাকফ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং হোয়াইট হাউস এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রসহ আমেরিকান কর্মকর্তারা অপেশাদারভাবে দাবি করেছেন যে ইরানের সাথে আলোচনায় তারা যে একমাত্র বিষয় গ্রহণ করবেন তা হল ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ সম্পূর্ণ বন্ধ করা। এমন একটি সমস্যা যা ইরানের জন্য রেড লাইন।
এই আলোচনায় ইরানের প্রধান দাবি হলো একতরফা ও অবৈধ মার্কিন নিষেধাজ্ঞা কার্যকরভাবে প্রত্যাহার করা হোক। ইরান পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তির (এনপিটি) একটি দায়িত্বশীল পক্ষ হিসেবে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণকে তার অধিকার বলে মনে করে এবং জ্বালানি চক্র সংরক্ষৃণের উপর জোর দেয়।এদিকে, ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকায়ি শুক্রবার সকালে এক্স নেটওয়ার্কে ইরানের বিরুদ্ধে নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় লিখেছেন, "নির্মাণ খাতে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সম্প্রসারণের মাধ্যমে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ইরানি জাতির বিরুদ্ধে মার্কিন শত্রুতা এবং অবৈধ জবরদস্তিমূলক পদক্ষেপের দীর্ঘ ইতিহাসে একটি নতুন রেকর্ড স্থাপন করেছেন।" এই কাজটি মন্দ, অবৈধ এবং অমানবিক। বাকায়ির মতে,পঞ্চম দফা আলোচনার প্রাক্কালে এই পদক্ষেপ কূটনীতির পথে আমেরিকার দৃঢ়তা এবং গুরুত্বকে আরও প্রশ্নবিদ্ধ করে। ইরানের সাথে পঞ্চম দফার পরোক্ষ আলোচনার আগে বৃহস্পতিবার মার্কিন সরকার ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের নির্মাণ খাতের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।